ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেখি আমাদের আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, তো আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমরাও চাঁদে যাব। ভবিষ্যতে সেভাবেই আমরা দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলব। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক আর এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের এই দিকটা (অ্যারোস্পেস) যেন আরও উন্নত হয় সেজন্য অ্যারোস্পেস বিষয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা দরকার। আমাদের লোকবল দরকার, এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণাও দরকার। সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের যারা অত্যন্ত মেধাবী তরুণ-তরুণী আছে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে আমরা লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এভিয়েশন খাতের আরও উন্নতি হোক। অতীতে এই খাতে উন্নয়নের এত পদক্ষেপ কেউ নেয়নি। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা (জাতিয় পার্টি, বিএনপি) দেশের মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারেননি। আওয়ামী লীগই দিয়েছে। মানুষের মধ্যে একটা আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি করে দিয়েছি। বিশ্বের বুকে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষের যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নয়নের জন্য বিমানপথ অপরিহার্য। নৌপথ, রেলপথ ও আকাশ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে বিদেশের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ তার মূল পথ এবং বাহন হলো বিমান তথা আকাশ পথই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিই, তাই সে অনুযায়ী কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিমানবন্দরে কোনো বোর্ডিং ব্রিজ বা পার্কিং লড কিছুই ছিলো না। তাই তখন থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়ে ছিলাম এ বিমানবন্দরের উন্নয়ন। সেই সাথে সাথে চট্টগ্রাম এবং সিলেট দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সাথে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল, এই সময়ে কিন্তু এ বিমানবন্দর উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিমানবন্দর সমূহকে আরও আধুনিক এবং যাতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয় তার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, অমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর ভিবিন্ন দেশে আমাদের অনেকেই বাস করে, তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে, অমাদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে। তাছাড়া বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ভারত মহাসাগর অপরদিকে প্রশান্ত মহাসাগর সেই সাথে সাথে আমাদের বঙ্গপসাগর এ তিন রুটের মাঝে। প্রাচীন যুগ থেকেই এই জায়গাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।